অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, তদন্ত কমিটি গঠন
ফরিদপুরের ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে ৮জন নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দে কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে ৮জন নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দে কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতকে ১০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সূত্র : বাসস।
এরআগে, শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লেগে ৮জন নিহত হন। নিহতের মধ্যে ২ জন নারী, ৩ জন পুরুষ ও ২টি শিশু রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন একই পরিবারের সদস্য।নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫) তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতী হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২), মেহেদি (১২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর সন্তান মিতুল (২৫)।
বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন জানান- উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে একমাস আগে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করান। সুস্থ হয়ে ওঠার পর বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন। শনিবার সকালে তারা ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তারা ৭ জনই নিহত হন।
ফরিদপুর কতোয়ালী থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, দুর্ঘটনায় আহত অ্যাম্বুলেন্স চালক মিতুলকে ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বেলা ৩টার দিকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা করা হয়। কিন্তু ঢাকায় যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীরা। পথিমধ্যে মালিগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়।