রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিজেই ‘মানসিক’ রোগীতে পরিণত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সংযুক্তা সাহা।

শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় পরীবাগের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ডা. সংযুক্তা বলেন, ‘মিডিয়ায় বেশি কথা বলে আমি কনফিউশনের সৃষ্টি করতে চাই না। ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষ কনফিউজড। এক টিভি বলে এ কথা, ওই টিভি বলে আরেক কথা। আসলে আমি নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমার পক্ষে এখন কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না।’

১৩ বছর বিএমডিসির নিবন্ধন না থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার আগেই নিবন্ধন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে পাইনি। এ ক্ষেত্রে আমার ভুল হয়ে গেছে।

ডা. সংযুক্তা বলেন, আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি এমন না। নিবন্ধন আছে, তবে নবায়ন করা হয়নি। নবায়নে ফি দিতে হয় এবং এটি গত বছর থেকে অনলাইন সিস্টেম চালু হলেও আমি জানতাম না।

তিনি বলেন, আমি তো বাসায় আসারই সময় পাই না। নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়। আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি।

নিবন্ধনের জন্য ১৩ বছরে একবারও সময় হয়নি– জানতে চাইলে ডা. সংযুক্তা বলেন, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম, তখন নিবন্ধনের বিষয় তারাই করতো। কাগজপত্র নিয়ে তারাই নবায়ন করত। সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।

গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে সি-সেকশন সার্জারির সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। ১৯ জুন মাহবুবা রহমান আঁখি অপর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে ১৪ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।