স্বাস্থ্যসেবায় সুনাম ছড়াচ্ছে মোংলা হাসপাতাল : ইউএইচএফপিও

ইলিয়াস হোসেন :
2023-06-23 11:52:05
স্বাস্থ্যসেবায় সুনাম ছড়াচ্ছে মোংলা  হাসপাতাল : ইউএইচএফপিও

সীমিত জনবল ও সুবিধা নিয়েই সুনাম ছড়াচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সীমিত জনবল ও সুবিধা নিয়েই স্বাস্থ্যসেবায় সুনাম ছড়াচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন স্থানীয় রোগীরা। সম্প্রতি ডক্টর টিভির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, শতভাগ গর্ভবতী মায়ের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিশ্চিত করতে কাজ করছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে মা সমাবেশের আয়োজন করছেন তারা। সমাবেশে আগত মায়েদের মেডিকেল অফিসার ও মিডওয়াইফদের দ্বারা গর্ভকালীন চেক-আপ করা হয়। এছাড়াও তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পরামর্শ, ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ পুষ্টিকর নাস্তা এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়। নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং আয়রন, ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়ামসহ দরকারী ওষুধ পাচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা। তবে, ডেলিভারি সুবিধা কেবলমাত্র উপজেলা হাসপাতালেই রয়েছে। 

দীর্ঘ একযুগ পর গত ১ জুন থেকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে সিজার ও সাধারণ অপারেশন কার্যক্রম। এরপর থেকে নিয়মিত সিজারসহ অন্যান্য মাইনর অপারেশন হচ্ছে। এমনকি সাধ্যমত মেজর অপারেশনও করা হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। এতে চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি রোগীদের আস্থা ও ভালবাসা বেড়েছে বলে জানান মোংলার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। 

জরায়ুমুখের ক্যান্সার শনাক্তে স্থাপিত ভায়া সেন্টার অনেক দিন অকার্যকর ছিল। নতুন করে সেন্টারটি চালু করা হয়েছে। 

ডা. মোহাম্মদ শাহীন দুঃখ করে বলেন, বর্তমানে ৫০ শয্যার উপজেলা হাসপাতালটিতে বর্তমানে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও (কনসালট্যান্ট) কর্মরত নাই। হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের পদ সৃষ্টি করা আছে। কিন্ত কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন। এদের সবাই মেডিকেল অফিসার। কনসালট্যান্ট চিকিৎসক না থাকায় বিশেষজ্ঞ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মোংলাবাসী। এ কারণে প্রায়ই রোগীদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করতে হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিতে পদের বিপরীতে নার্স, টেকনিশিয়ান, ওয়ার্ড বয় ও আয়ার সংখ্যা কম। এ কারণে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অচিরেই জনবল ঘাটতি লাঘবের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশা করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন।

উপজেলা হাসপাতালের এনসিডি কর্নার থেকে নিয়মিত প্রায় ১০০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধ পেয়ে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগীরা অত্যন্ত খুশি বলে জানান তিনি। 


আরও দেখুন: