নিজেকে ‘অনিয়মের সাম্রাজ্য রক্ষার বলি’ বললেন ডা. সংযুক্তা
ঘটনার ১০ দিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডা. সংযুক্তা সাহা
রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২০০৭ সাল থেকে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করার কথা জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা। সম্প্রতি এ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে রোগীর মৃত্যুর জন্য ডা. সংযুক্তা সাহাকে দায়ী করেছেন। তবে মঙ্গলবার (২০ জুন) প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ডা. সংযুক্তা। সেন্ট্রাল হাসপাতালে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচরের ১০ দিন পর এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা গেল।
তিনি দাবি করেন, ২০০৭ সাল থেকে এ ঘটনার (নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু) আগ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ছিলাম গর্ব। কিন্তু এখন তারা নিজেদের অবহেলার দায় এড়াতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কৌশল হিসেবে আমার সুনামকে অপরাধমূলকভাবে ব্যবহার করছে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়মের সাম্রাজ্য রক্ষার স্বার্থে সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছি।
ডা. সংযুক্তা সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়মের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রাল হাসপাতালের অনিয়মের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আজও আমরা যদি রুখে না দাঁড়াই, তাহলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে উন্নতি, তা থমকে যাবে।’
এ সময় নবজাতকসহ প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডা. সংযুক্তা। তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের অধীনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই তাঁর সম্মতি নিতে হয়। কিন্তু মাহবুবা রহমান আঁখি দম্পতি ভর্তির ক্ষেত্রে আমার কাছ থেকে মৌখিক কিংবা লিখিত কোনো ধরনের সম্মতি নেননি। আঁখি আমার নিয়মিত রোগী ছিলেন না।’
ডা. সংযুক্তা বলেন, ‘আঁখি যখন হাসপাতালে, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার কাছে টিকিট ও বোর্ডিং পাস আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটরিং করিনি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার উপস্থিতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সদা ব্যস্ত আছেন। তাদের খুঁজে বের করা উচিত।’
ডা. সংযুক্তা আঁখি ও তার সন্তানের জন্য শোক প্রকাশ করেন। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নবজাতকের বাবা মো. ইয়াকুব আলী ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।