আঁখি ও নবজাতকের ময়নাতদন্ত শেষ, লাকসামে দাফন
আঁখি ও নবজাতকের ময়নাতদন্ত শেষ, লাকসামে দাফন
রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে কর্তৃপক্ষের প্রতারণামূলক চিকিৎসায় মারা যাওয়া মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আঁখির মৃত্যু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আঁখির বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হবে।
আঁখির ভাই সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেছেন, তাদের মরদেহ নিয়ে কুমিল্লার লাকসামে বাবার বাড়িতে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
আঁখির স্বজনদের দাবি, গত ৯ জুন প্রসব বেদনা শুরু হয় আঁখির। সেই রাতেই নরমাল ডেলিভারির জন্য ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে প্রসূতি আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।
তারা আরও জানান, স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতা দেখা দেয়ায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করা হয়। কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করার পর বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় ১৪ জুন ধানমন্ডি থানায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করেন ইয়াকুব আলী। মামলার আসামিরা হলেন- সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মুনা সাহা (২৮), ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা (৩৮), অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার সহকারী মো. জমির, ডা. এহসান, ডা. মিলি ও সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজসহ আরও অজ্ঞাত ৫-৬ জন।
গত ১৫ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেপ্তার করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখির মৃত্যু হয়।