‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল, ২০২৩’ সংসদে উত্থাপিত
বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল সংসদে উত্থাপিত
‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার (১৪ জুন) সংসদে উপস্থাপিত বিলটিতে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে। সেই কাউন্সিলই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো দেখভাল করবে ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এই কাউন্সিল হবে ১৯ সদস্যের। এর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাক্রেডিটেশনের মানদন্ড নির্ধারণ করতে হবে।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন এবং এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান করতে এই আইনটি অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।
এরআগে, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের যৌথ টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে সব দেশকে একটি অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে আসতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট দেশের কোনো ডাক্তার বা টেকনিক্যাল হেলথ পার্সন অন্য দেশে স্বীকৃত হবেন না। এমনকি তাদের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে গিয়ে শিক্ষাও নিতে পারবেন না।