ভাতা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব : ভিসি
মঙ্গলবার (১৩ জুন) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ
রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার কথা বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তাঁর ভাষায়, ‘রেসিডেন্টরা আমার সন্তান তুল্য। তাঁদের ভাতার বিষয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের জোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানেও সমাধান না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব।’
মঙ্গলবার (১৩ জুন) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিসি বলেন, ইতোমধ্যে বকেয়া ভাতা পরিশোধ ও ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জোর তৎপরতা চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও আজকে যেভাবে তারা এসেছে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। সব কিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। তাদের দাবির বিষয়ে লিখিত আবেদন করতে পারতো এবং একটা সময় দিয়ে তারা চলে যেতো পারতো। চিকিৎসাসেবা ফেলে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা বাঞ্ছনীয় হতে পারে না।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা একজন চিকিৎসককে ঢিল ছুঁড়ে আহত করেছে, একজন ওয়ার্ড বয়কে মারধর করেছে, ভিসির কার্যালয়ের গেটে তালা দিতে চায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে হাত দেয়- এটা কেমন আচরণ? তাদের এই আচরণ কাম্য নয়। ভাতা সমস্যা সমাধানে রেসিডেন্টদের প্রতিনিধি নিয়ে আবারো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
ভিসি আরও বলেন, মানবিক কারণে গত ঈদুল উল ফিতরে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন ঈদুল আযহাতে তাদের বিষয়টি দেখবো। এছাড়া আগামী জুলাই থেকে যাতে বকেয়া ভাতা পায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী বাজেটে ভাতার বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর চেষ্টা চলছে। তাদের দাবি যাতে পূরণ হয় সে জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এবং মিডলম্যান হিসেবে আমার আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। সেটা তাঁদেরকে বুঝতে হবে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, তাঁদের জীবনে এই সময়ে লেখাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ব্যাহত হলে তাঁদেরই তো ক্ষতি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নেয় এবং ইনডোরে ২ হাজার রোগী সেবা নেয় সেটা যাতে ব্যাহত না হয় সেটা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। তাই আন্দোলনের নামে, দাবি আদায়ের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না বলে জানান তিনি।
এসময় বিশ্ববিদালয়ের প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো মনিরুজ্জামান খান, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।