মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন
২০২০ সালের ১৩মে দৌলতউজ্জামান জয়কে হত্যা করা হয়
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দৌলতউজ্জামান জয়কে (৩৩) হত্যার দায়ে ৩জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
দৌলতউজ্জামান জয় বগুড়া জেলার পুলিশ লাইন এলাকার লতিফপুরের আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে প্যাথলজি ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার আহাম্মদ উল্যার ছেলে মো. সোহরাব হোসেন (২৬) একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নওয়াজ শরীফ (২৬) ও ইসমাইল লেবারের ছেলে মো. রিয়াজ (২৭)।
রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিহত জয়ের মা ডলি রহমান। তিনি বলেন, মানুষ মেরে ওরা বেঁচে থাকে কিভাবে?
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩মে সন্ধ্যা ৬টায় চৌমুহনী বাজারের লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান জয়কে আসামিরা চৌমুহনী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার মাওলানা কাসেমের বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে মাথায় ও কানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৫মে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবদুর রহমান বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিল। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা গ্রেপ্তারের পর থেকে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। এ মামলায় মো. বেলাল নামে এক আসামির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।