স্বাস্থ্যখাতের গবেষণায় আমরা পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলে করোনা মোকাবিলা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবদিক থেকে এগিয়ে গেলেও স্বাস্থ্যখাতের গবেষণায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এ জন্য স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি এবং টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
রবিবার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠান হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষিতে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা এতটা করতে পারছি না। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আমার পথ চলা এত সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা, অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। যার ফলে আজকে বলতে পারি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল, এ পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আজকে প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ, গবেষণার যুগ। আমি ২১ বছর পর যখন ক্ষমতা পেলাম, তখন আমি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিলাম। একটা প্রজেক্ট নিয়েছিলাম নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীরাই শুধু শিক্ষা পাবে তা না, বয়স্করাও যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, এক একটা জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা দিয়ে অনেকটা সফল হয়েছিলাম। পাঁচ বছর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এ প্রকল্প বাদ করে দেয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ করব বলে ঘোষণা দেই, তারপর থেকে আমরা উদ্যোগ নেই। আজকে আমরা সফল হয়েছি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তিক জ্ঞানের সঙ্গে যদি আমরা তাল মিলিয়ে না চলতে পারি তাহলে সামনের দিকে এগোব কীভাবে? আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলে করোনা মোকাবিলা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এটা আছে বলেই আজকে আমাদের দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমাদের সাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রথমে সরকারে এসে দেখি এখানে গবেষণার জন্য কোনো ফান্ড নেই। কোনো টাকা নেই, গবেষণার দিকে কারও দৃষ্টি নেই। এমনকি বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া যায় না, এমন একটা অবস্থা ছিল। আমাদের প্রায়োরিটি ছিল কৃষি, খাদ্য নিশ্চিত করা। কৃষি গবেষণায় আমরা সফল হলাম। তিন চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সক্ষম হলাম। বাংলাদেশের গবেষকরা সব উৎপাদন করতে পারে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের যে মেধা, সেই মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে এই দেশ আর কখনো পেছাতে পারবে না। এগিয়ে যাব এটাই আমাদের বাস্তবতা।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।