জীবনরক্ষাকারী উচ্চমূল্যের ওষুধ দেশে তৈরি সম্ভব: অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের অনেক ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এতে যেমন সময় ব্যয় হয়, তেমনি ওষুধের দামও অনেক বেড়ে যায়। দেশেই অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে, যারা এ ধরনের ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম। দেশে এসকল ওষুধ উৎপাদন করতে পারলে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ প্রাপ্তি যেমন সহজলভ্য হতো, আবার দামও হতো তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শনিবার (১০ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত পালমোনারি হাইপারটেশন বিষয়ক প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যদি উদ্যোগ নেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পালমোনারি হাইপারটেশন নীরব ঘাতক রোগ। বুকে ব্যাথা, বুক ধরফর করা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, পায়ে পানি আসা, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে না পারা, স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়া বা কিছু মনে রাখতে না পরা এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসককের পরামর্শ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএমএমইউয়ে পালমোনারি হাইপারটেশন রোগ নির্ণয় ও সুচিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করতে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ পর্যন্ত এ ধরনের ৬৫ রোগী রেজিস্টার্ড হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ইউজিসির অধ্যাপক প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, প্রখ্যাত বাতরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ অতিকুল হক, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত, রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু শাহীনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পালমোনারি হাইপারটেশন সাপোর্ট গ্রুপ আয়োজিত এই সম্মেলনে জানানো হয়, মাল্টি ডিসিপ্লিনারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং চিকিৎসকদের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ সিস্টেম চালু করা এই সম্মেলনের মূল্য উদ্দেশ্য।