ল্যানসেটের অক্সিজেন নিরাপত্তা কমিশনে বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী
বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানূর রহমান
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা সাময়িকী ‘ল্যানসেট’ এর গঠন করা ‘মেডিকেল অক্সিজেন নিরাপত্তা’ বিষয়ক হেলথ কমিশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানূর রহমান। ‘ল্যানসেট’ কর্তৃক গঠিত কোনো কমিশনের নির্বাহী কমিটিতে এই প্রথম কোন কোনো বাংলাদেশি স্থান পেলেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।
ল্যানসেট’র এই কমিশনের সূত্রপাত হয়েছে আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. এহসানূরের একটি গবেষণা অনুসরণ করে। বাংলাদেশে শৈশব অসুস্থতায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনার নিয়মিত পরিষেবাগুলোতে পালস অক্সিমিটার প্রবর্তন সংক্রান্ত ডা. এহসানূরের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত ল্যানসেটে। এর পরই ‘মেডিকেল অক্সিজেন নিরাপত্তা’ বিষয়ক স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয় ল্যানসেট।
ওই গবেষণাতে উঠে আসে- বাংলাদেশে দরিদ্র, গ্রামীণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে নবজাতক ও শিশুরা প্রধানত: নিউমোনিয়ায় মারা যায়। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর অধিকাংশই মারা যায় হাইপোক্সিমিয়া তথা, অক্সিজেন ঘাটতির জন্য। ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক একটি সুপারিশ করা হয়েছিল যেন নিউমোনিয়া ব্যবস্থাপনায় পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করা হয়। খুবই সহজপ্রাপ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে জোগাড় করা গেলেও, বাংলাদেশে এর প্রচলন ছিল না। অথচ পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগেই শিশুরোগ নির্ণয় ও নিউমোনিয়া শনাক্তকরণ সম্ভব। ডা. এহসানূরের সেই গবেষণার আলোকে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে নিউমোনিয়া ব্যবস্থাপনায় পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের গুরুত্ব অনুধাবন করে ‘ল্যানসেট’ এই কমিশন গঠন করে।
ডা. এহসানূর জানান, ঢামেকে ইন্টার্নিশিপ করার সময় এ বিষয়ে গবেষণার চিন্তা মাথায় আসে।
তিনি জানান, আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশকেই অক্সিজেন উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তির উপর আস্থা রাখতে হবে। দেশীয় তরুণদের উদ্ভাবনের সুযোগ দিতে হবে। সেইসাথে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডা. এহসানূর।