আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস আজ
৯ জুন, আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস
আজ ৯ জুন, আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘Step up for Nash’ অর্থাৎ এখনই ন্যাশ সম্পর্কে সচেতন ও প্রতিরোধ করতে হবে। ফ্যাটি লিভার সম্বন্ধে ব্যাপক জন সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ও বিশিষ্ট লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন, শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে তা আমাদের দেহ পুরোপুরি শোষণ করতে পারে না। সেগুলো লিভারের কোষে গিয়ে জমা হতে থাকে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে জমা হতে হতে লিভার কোষকে নষ্ট করে দেয়। এক পর্যায়ে লিভার প্রদাহের সৃষ্টি হয়। একেই ন্যাশ বলে। দীর্ঘমেয়াদী ন্যাশ থেকে লিভার সিরোসিস হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তা লিভার ক্যান্সারে রূপ নেয়।
তিনি বলেন, এছাড়াও বেশকিছু রোগ থেকেও লিভারের এই রোগ হতে পারে। অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, হাইপারটেনশন বা অতিরিক্ত রক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম আর মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারি।
ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ শতাংশ বা সাড়ে চার কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ৩৬ থেকে ৫৪ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত অস্বাস্থ্যকর খাবারজনিত লিভারের রোগ বা নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়েটোহেপাটাইটিসে (ন্যাশ) আক্রান্ত।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত ন্যাশের চিকিৎসায় সঠিক ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটা প্রতিরোধে সঠিক নিয়মে, প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করতে হবে। শাকসব্জি বেশি খেতে হবে।
তাঁর মতে, ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা ‘লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন’ বা ‘জীবনযাত্রার পরিবর্তন’। অতিরিক্ত শর্করা আর চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও যে সব রোগের কারণে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে, সে সবের সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। সর্বোপরি সবাইকে সচেতন হয়ে ফ্যাটি লিভার বা ন্যাশ প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেন লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক।