আটটি বিভাগীয় হাসপাতাল করছে সরকার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৫ হাজার শয্যার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে
নতুন করে আটটি বিভাগীয় হাসপাতাল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’ এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে কোন বিভাগে হবে, তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা আরেক ধাপে আটটি বিভাগীয় হাসপাতাল করতে যাচ্ছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৫ হাজার শয্যার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। এটি একটি বড় প্রকল্প। এ জন্য নকশা ও অর্থায়ন পেতে কিছুটা সময় লেগেছে। আমরা এখন ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক সেবাগুলো প্রায় বিনামূল্যে দেওয়া হয়। হেলথ কাভারেজের মূল শর্তই হলো- বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা। মানুষকে যেন নিজ পকেট থেকে খরচ করতে না হয়।’
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি কভিড হাসপাতালে শুরুতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও বর্তমানে সেখানে কিছু ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু সংক্রমণও এখন কম, ডিএনসিসি চাইলে যেকোনো সময় আমরা হাসপাতালটি তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এরইমধ্যে শুনেছি, তারা সেখানে নিজস্ব হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করছেন। আমরা যেকোনো সময় হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।’
মশা নিধনে শক্তিশালী স্প্রে আনা হয়েছে
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মশা নিধনে শক্তিশালী স্প্রে আনা হয়েছে। ঠিকমতো এটা ব্যবহার করে মশা মারতে পারলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আমরা চিকিৎসার বিষয়টি দেখি। মশা নিধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন। কোথায় মশা বাড়ছে, কোথায় রোগীর সংখ্যা বেশি, এ তথ্যগুলো আমরা তাদের দিয়ে থাকি।
ডেঙ্গু বাড়লেও চিকিৎসা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা দেখছি কিছুদিন ধরে সংক্রমণ কিছুটা বাড়ছে। রোগী বাড়লেও চিকিৎসার বিষয়ে আমরা প্রস্তুত। আমাদের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে রাখা আছে।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু চিকিৎসায় কর্নার করেছি, চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। একসঙ্গে যা ওষুধ লাগে, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। কাজেই সেখানে আমি মনে করি কোনো সমস্যা হবে না।’
সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, ‘যতই প্রস্তুতি নেওয়া হোক, আমাদের নিজেদেরও একটু দায়িত্ব আছে। আমাদের আশপাশে ডোবা-নালা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি যদি আমরা ঠিকমতো স্প্রে করতে পারি, তাহলে এমনিতেই মশা কমে আসবে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।