উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন ডা. সাবরিনা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডা. সাবরিনা চৌধুরী।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণায় মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন প্রশ্নে রুলসহ এ আদেশ দেয়।
এসময় আদালতে আবেদনের পক্ষে থাকা আইনজীবী মাসুদুল হক সাংবাদিকদের জানান, ‘এ মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। বাকি মামলাগুলোতেও তিনি জামিনে আছেন। আজকে জামিন পাওয়ায় ডা. সাবরিনার মুক্তিতে বাধা নেই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘হাইকোর্ট সাবরিনাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
গত বছরের ১৯ জুলাই জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মোট আটজনকে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ তিনটি পৃথক ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেয় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
ভুয়া সনদ দেওয়া নিয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের এক বাসিন্দার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন ফকির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের কম্পিউটার থেকে ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট আরিফুল হক, সাবরিনা চৌধুরীসহ জেকেজি হেলথকেয়ারের সংশ্লিষ্ট আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এরপর একই বছরের ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।