বাজেটে বাড়তি গুরুত্ব পেল না স্বাস্থ্যখাত
অনেকেই মনে করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দুর্বলতা, তারা বরাদ্দ খরচ করতে পারে না। বছর শেষে এই মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ফেরত যায়
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বা প্রায় ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ৫২তম জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
চলতি অর্থবছরে বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল, যার পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।
এদিকে, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে বাজেটে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এ বিভাগের জন্য ৮ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।
করোনা মহামারী অনেক নতুন শিক্ষা দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। মানুষ নতুন করে স্বাস্থ্যের গুরুত্বের কথা ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু জাতীয় বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাছে স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বেড়েছে, প্রস্তাবিত বাজেট দেখে তা মনে হওয়ার কারণ নেই।
বাজেট প্রণয়নকারীরা এবারও জাতীয় বাজেটের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ রেখেছেন স্বাস্থ্যের জন্য। এক দশক ধরে এমনই চলছে। অথচ বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও চিকিৎসা ব্যয়ের বিবেচনায় জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলে আসছেন, জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না।
অনেকেই মনে করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দুর্বলতা, তারা বরাদ্দ খরচ করতে পারে না। বছর শেষে এই মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ফেরত যায়।