৯টি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পটিয়া হাসপাতালে
রোগী দেখছেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ
সব রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বর্তমানে ৯টি রোগের বিশেষজ্ঞ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। সম্প্রতি ডক্টর টিভি অনলাইনকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ।
তিনি জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছেন। ৯টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। তারা নিয়মিত উপস্থিত থেকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না পটিয়াবাসীকে।
সার্জারি বিশেষজ্ঞ থাকায় উপজেলা হাসপাতাল থেকে প্রায় সব ধরনের অপারেশন সুবিধা পাচ্ছেন রোগীরা।
তবে, সিজারিয়ান সেকশনের ব্যবস্থা থাকলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নরমাল ডেলিভারির জন্য উৎসাহিত করা হয়। এজন্য চিকিৎসক ও নার্স-মিডওয়াইফদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি সুবিধা পাচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা। কোন ধরনের জটিলতা থাকলে সিজার করা হয়। এ কারণে স্থানীয় মায়েদের কাছে অত্যন্ত আস্থা ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম ছড়িয়েছে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অনেক রোগীর ভিড় হলেও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত যত্নের সাথে রোগীদের যত্ন নিয়ে থাকেন।
গত দু’মাস ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে পটিয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। পর্যাপ্ত ওষুধ-পথ্য সরবরাহ থাকায় আক্রান্তদের সহজেই সুস্থ করে তুলতে পেরেছেন চিকিৎকরা। ডায়রিয়া রোগী বাড়লেও হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীরা স্বাভাবিক চিকিৎসা পেয়েছেন। পানি দূষণের কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। একইসাথে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করেই খাবার খাওয়ার কারণে এমন হয়েছে বলে মনে করেন ডা. সব্যসাচী নাথ।
তিনি জানান, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে-কাটা ও কুকুড়ে কামড়ানো রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে হাসপাতালটিতে। বেশিরভাগ টেস্ট হাসপাতাল থেকেই করতে পারেন রোগীরা।
এনসিডি কর্ণার সচল রয়েছে। সেখান থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ-রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ পেয়ে থাকেন।
হাহাসপাতালের আউটডোরে যথেষ্ট রোগীর ভিড় লক্ষ্যনীয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত রোগী অবস্থান করে থাকে।
ডা. সবসাচী বলেন, হাসপাতাল নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। হাসপাতালে বিভিন্ন ফলমুলের অনেক বড় বাগান রয়েছে। এছাড়া ফাঁকা জায়গায় ফুল ও সবজির চাষ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভেষজ গাছের বাগান রয়েছে হাসপাতালটিতে।
হাসপাতালের বেশিরভাগ জনবল নির্ধারিত কোয়ার্টারে অবস্থান করেন। হাসপাতাল ও কোয়র্টারের নিরাপত্তার জন্য দু’জন কর্মী নিয়োগ দেয়া আছে।
ডা. সব্যসাচী নাথ এমবিবিএস পাস করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (বর্তমান নাম : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ) থেকে। ২০২০ সালের শুরুতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।