দেশে প্রতি ৫ জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের হার। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। উদ্বেগের বিষয় হলো, আক্রান্তদের অর্ধেক নারী (৫১%) এবং দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ (৬৭%) জানেনই না তারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই (৬৪%) কোনো ওষুধ সেবন করে না। এ অবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর বিএমএ ভবনে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরে করণীয় বর্ননা করেন বিশেষজ্ঞরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা এক্ষেত্রে কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস জানান, উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ প্রদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যা দ্রুত পাশ হবে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার।
জিএইচএআই বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।