প্রবাসে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় লড়ছেন ডা. মুজিবুল হক
প্রবাসে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন ডা. মুজিবুল হক
রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ওষুধ সেবন! সাধারণত এই ফর্মুলায় চলে দেশের চিকিৎসাখাত। তবে অধিকাংশ রোগ এই ফর্মুলায় পুরোপুরি নির্মূল হয় না। কারণ, শুধু ওষুধে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে বটে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না। তাই এর পাশাপাশি প্রয়োজন প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ের সংমিশ্রণ এবং জীবনযাপনের সঠিক পন্থা।
তাই এই বিষয়ে কাজ করছেন ডা. মুজিবুল হক। যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই তিনি দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে সুফলও পেয়েছেন দেশের বহু মানুষ। ডা. মুজিবুল হক যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বোর্ড সার্টিফাইড ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোলিস্টিক ইন্টিগ্রেটিভ চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ডাক্তার ও পেশাদারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
ডা. মুজিবুল হক বলেন, আমার রোগমুক্তি এবং দীর্ঘ ২২ বছরের শিক্ষা ও গবেষণা থেকে আমি শিখেছি, প্রত্যেকটা স্বাস্থ্য সমস্যার একটা মূল কারণ থাকে; সেইসঙ্গে থাকে এর বৈজ্ঞানিক সমাধান। রোগ মুক্তির জন্য শুধু প্রেসক্রিপশনের ওষুধ নয়, প্রয়োজন রোগের মূল কারণ চিহ্নিত করে সেটা নির্মূল করা। আর আমি সেটা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
ডা. মুজিবুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অর্জন শেষে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার ‘উইনকনসিন মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে জৈব প্রাণরসায়নে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে ‘ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেল ব্রাঞ্চ’ থেকে পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ সম্পন্ন করেছেন।
২০১০ সালে পিএইচডি চলাকালীন মুজিবুল হক এক ধরনের মারাত্মক অটোইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হন। এই রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বিপাকে পড়েন; ফলে বিকল্প পন্থা খোঁজেন তিনি। তখনই সন্ধান পান এক হোলিস্টিক ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন চিকিৎসকের। যার পরামর্শে পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা লাভ করেন মুজিবুল।
এই ঘটনায় নতুন পথ খুলে যায় ডা. মুজিবুল হকের জন্য। তাই তিনি ভর্তি হন বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি ন্যাচারোপ্যাথির ওপর ‘এনডি’ শীর্ষক ডিগ্ৰী অর্জন করেন যুক্তরাষ্টের ন্যাচারাল মেডিসিন প্রাক্টিশনার বোর্ড থেকে। এছাড়াও ইনটেগ্রেটিভ মেডিসিন, রিজেনারেটিভ মেডিসিন এবং ফাংশনাল ডাইগোনেস্টিক মেডিসিনের ওপর শিক্ষা অর্জন করেন। এরপরই তিনি ইন্টিগ্রেটিভ হলিস্টিক ট্রিটমেন্ট শুরু করেন পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।