মোখায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা চিকিৎসকদের ‘স্যালুট’

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-05-15 16:40:19
মোখায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা চিকিৎসকদের ‘স্যালুট’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সকল স্বাস্থ্য সৈনিকদের স্যালুটও জানানো হয়।

বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব শেষ হয়েছে। রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমার স্থলভাগের দিকে চলে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। তবে টেকনাফ, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সোমবার (১৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ছবি সম্বলিত পোস্টে মোখায় ঝুঁকি নিয়ে এসব কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করা হয়।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগের মধ্যেও গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতজন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। আরও তিনজন মা বর্তমানে ডেলিভারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। একইসঙ্গে হাসপাতালের সব কার্যক্রম এ নির্ভীক স্বাস্থ্য সৈনিকেরা সচল রেখেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে সব স্বাস্থ্য সৈনিকদের স্যালুটও জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগের মধ্যেও গতকাল বেলা ১১টার দিকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন মায়ের প্রসবজনিত জটিলতার কারণে জরুরি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে হাসপাতালটিতে দুইটি সুস্থ শিশু জন্ম নিয়েছে।

কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্টরা মেডিকেল টিম নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে সেবা দেন। সেন্টমার্টিনের ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি একইসঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। হাসপাতাল ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, মিডওয়াইফ ও অন্যান্য স্টাফরা আশ্রয়প্রার্থী জনগণের সঙ্গে এক কাতারে নেমে এসে জরুরি সেবা চালিয়ে যান বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।


আরও দেখুন: