উপকূল পার হচ্ছে মোখা, বাতাসের গতি ২১৫ কিমি
মোখার অর্ধেক আছে মিয়ানমারের দিকে, অর্ধেক বাংলাদেশের দিকে
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। রবিবার বিকেলের মধ্যে এ ঝড় সাগর থেকে পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গতিবেগ অনুযায়ী মোখার বেশিরভাগ অংশ এবং ঝড়ের কেন্দ্র যাবে উত্তর মিয়ানমারের দিকে। বাকিটা পড়বে কক্সবাজার উপকূলে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র বেশিরভাগ ছিল ভারতের দিকে, বাংলাদেশের দিকে ছিল অল্প। একমাত্র ‘সিডর’র সময় পুরো ঝড় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গিয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার ব্যাস ৫০০ কিলোমিটারের বেশি। এর অগ্রভাগের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অনেক এলাকায়। তবে সিডরের সঙ্গে মোখার তীব্রতার তুলনা করা যাবে না।
তিনি বলেন, মোখা দেশের শেষ সীমানা দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর অর্ধেক আছে মিয়ানমারের দিকে, অর্ধেক আমাদের দিকে। সিডরের পুরোটাই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গিয়েছিল বলে ক্ষয়ক্ষতি পুরোটাই এখানে হয়েছিল। তবে মোখার আওতায় বাংলাদেশের এলাকা কম পড়বে।