সাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি বুধবার (১০ মে) নাগাদ গভীর নিম্নচাপ ও এরপর আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়টির নামই ‘মোকা’।
ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে, কোথায় আঘাত হানবে– তা এখনই নিশ্চিত করে বলছেন না আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে ঝড়টি কোন দিকে যাবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে, আবার মিয়ানমারের দিকেও যেতে পারে। মে মাসের ঘূর্ণিঝড়গুলো মাঝারি শক্তির হয়। ‘মোকা’ও তেমন হতে পারে। ঘণ্টায় ঝড়ের গতি কমবেশি ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে। আবার ১৭০ কিলোমিটার বা ১৩০ কিলোমিটার গতিরও হতে পারে।