ডা. ফরিদের প্রচেষ্টায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলো এক নবজাতক

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-05-07 12:22:46
ডা. ফরিদের প্রচেষ্টায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলো এক নবজাতক

প্রায় ৩০-৪০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পরে শিশুটি জোরে একটা শ্বাস নেয়

ডা. ফরিদের প্রচেষ্টায় নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর দুয়ার থেকে  অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এল এক নবজাতক।

রোববার সকালে (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে এ ঘটনা শেয়ার করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদ এইচ খান। রাতের ডিউটিতে আসার পর থেকেই একের পর এক রোগী আসছিল। কেউ মারামারির রোগী, কেউ এক্সিডেন্টের, কেউ বিষপান, কারও ডায়রিয়া। রোগী দেখা শেষ করে একটু বিশ্রামের জন্য রুমে প্রবেশ করতেই ফোন আসলো, স্যার তাড়াতাড়ি আসেন। একটা মৃত বাচ্চা এসেছে, দেখে যান।

ডা. ফরিদ তড়িঘড়ি করে গিয়ে দেখেন আসলেই বাচ্চার জীবনের চিহ্ন নেই। শেষ চেষ্টা হিসেবে মাহমুদকে (এসএসএমও) আম্বু ব্যাগ (Ambu bag) দিয়ে বাতাস দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে তিনি শিশুর বুকে চাপ দিয়ে হৃদপিণ্ডকে উদ্দীপনা (CPR) দেওয়া শুরু করেন। সঙ্গে নার্স ও মিডওয়াইফ তাদের সবটুকু সাপোর্ট দিয়ে সাহায্য করতে থাকেন।

সিপিআর দিতে দিতে যখন দেখা যাচ্ছে কিছুই হচ্ছে না, তখন অনেকেই বলতে লাগলো শুধু শুধু চেষ্টা করে লাভ নেই। তবুও তাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। এভাবে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পরে বাচ্চা জোরে একটা শ্বাস নিলো। এক পর্যায়ে হার্টবিটও পাওয়া গেল। এরপরে যখন রক্তে অক্সিজেনের ঘনত্বসহ (স্যাচুরেশন) সব কিছু মেইনটেইন হচ্ছিল তখন বাকি চিকিৎসা দিয়ে বাচ্চাকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রামগঞ্জে বাসায় বাসায় এখনো অহরহ স্বাভাবিক প্রসবের নামে এমনভাবে বাচ্চা মারা যাচ্ছে, তা খেয়াল রাখতে হবে। বাসায় যদি ডেলিভারিতে বেশি সময় লাগে তাহলে আর চেষ্টা না করাই ভালো। এখন সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সপার্ট মিডওয়াইফ রয়েছেন, যারা নরমাল ডেলিভারি করাতে এক্সপার্ট।

বাচ্চাটি রাজশাহী মেডিকেলে এখন আগের থেকে অনেকটা সুস্থ আছে। বাচ্চাটির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।


আরও দেখুন: