যশোরে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

মুর্শিদুল আলম
2023-05-01 18:42:25
যশোরে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

প্রতিদিন গড়ে ৩০- ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে

যশোরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। একের পর এক রোগী ভর্তি হচ্ছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডক্টর টিভিকে জানান, ঠান্ডা-গরম আবহাওয়া এবং দূষিত পানির কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

হাসপাতাল সূত্র জানান, রমজানের মাঝের দিক থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। পুরুষ, মহিলা আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন। তুলনামূলক শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগী হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় কম থাকলেও যশোর পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে ৩০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে। গড়ে প্রতিদিন ৩০- ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে।

সংক্রামক ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনেয়ারা খানম ডক্টর টিভিকে বলেন, স্বাস্থ্যসেবীদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় রোগীদের সেবা করা হচ্ছে। ভর্তি হওয়ার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

মাসুম নামে এক রোগী বলেন, ২৯ এপ্রিল পেটের সমস্যার কারনে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু এখানকার যে অবস্থা এখানে না আসাই ভালো ছিলো। হাসপাতালে এসে আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি।

সদর উপজেলার রুবানা বেগম বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়ে কোনো উন্নতি হয়নি। যে কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। রোগীর চাপে বেড না পাওয়ায় মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এখানে আলো বাতাসের স্বল্পতা যেমন আছে তেমনি বিশুদ্ধ পানিরও সংকট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রোগীদের ঠাই হচ্ছে যত্রতত্র। ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। অল্প জায়গায় রোগী এবং তাদের স্বজদের ভিড়ের কারণে সুস্থরাও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পথে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ ডক্টর টিভিকে বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। পৌর এলাকার রোগীর সংখ্যা বেশি। রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সচেতনতার অংশ হিসেবে নিরাপদ পানি পান করার পাশাপাশি জীবন-যাপনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেশি গুরুত্ব ‍দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ডায়রিয়া হলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


আরও দেখুন: