দেশের প্রথম জেলা সদর হাসপাতালে রিউমাটোলজি বহির্বিভাগ
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিউমাটোলজি বহির্বিভাগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন অনেক রোগী
বাংলাদেশে প্রথম জেলা সদর হাসপাতাল পর্যায়ে রিউমাটোলজি বহির্বিভাগ চালু হয়েছে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে। ২০২২ সালে চালু হওয়া বিভাগ থেকে অনেক রোগী সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। বিভাগটিতে অনেক রোগী আসেন ব্যথানাশক ওষুধ নিতে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের ভিন্ন রোগ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেইজে দেয়া একটি পোস্ট থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। ফেসবুক পোস্টটিতে উল্লেক করা হয়েছে-
১। মিস্টার 'ক' একজন রিকশাচালক। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিউমাটোলজি বহির্বিভাগে আসেন অনেক বছরের গিরা ব্যথা ও হাতে ঝি ঝি নিয়ে। কিন্তু ভালো ভাবে ক্লিনিক্যাল এক্সামের সময় দেখা যায় উনার কিছু আংগুলের ডগায় আটোআম্পুটেশ ও কিছু অসংবেদনশীল চামড়ার দাগ। আমাদের ডায়াগনোসিস : লেপরোসি/ কুষ্ঠ।
২। মিসেস "খ" আসেন অনেক বছরের হাতে ব্যথা নিয়ে। ক্লিনিক্যাল এক্সামের সময় দেখা যায় উনার মাথায় সোরিয়াসিস। আমাদের ডায়াগনোসিস : সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস।
৩। মিসেস "গ" একজন ভিখারি আসেন অনেক বছরের হাতে ব্যথা নিয়ে, ক্লিনিক্যাল এক্সামের সময় দেখা যায় উনার হাত রিউমাটয়েড হ্যান্ড। আমাদের ডায়াগনোসিস : রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
৪। মিসেস " ঘ" হাটু ব্যথা নিয়ে আসেন। কিন্তু ভালো ভাবে দেখার পর উনার হাতে Tremor ও গলায় থাইরয়েড নডিউল পাওয়া যায়। উনার ডায়াগনোসিস হয় Toxic Nodular Goiter।
ডায়াগনোসিস এরপর সঠিক চিকিৎসা পেয়ে উনারা অনেক ভালো আছেন।
সীমিত সম্পদ আর ভালোবাসা দিয়ে অনেক জটিল রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে রিউমাটোলজি বহির্বিভাগ চালুর পেছনে যাদের অবদান রয়েছে-
১। অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
২। ডা: মীর মোবারক হোসেইন, উপপরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
৩। ডা. নাছিমা আকতার, সিভিল সার্জন, কুমিল্লা
৪। ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, ডেপুটি সিভিল সার্জন
৫। ডা. সাদাব সাউদ সানী রিউমাটোলজিস্ট, জেনারেল হাসপাতাল, কুমিল্লা
৬। ডা. আব্দুল করিম খন্দকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জেনারেল হাসপাতাল, কুমিল্লা।