ডাক্তার-নার্স সেজে অভিনব কৌশলে চুরি!

অনলাইন ডেস্ক
2023-04-06 15:15:06
ডাক্তার-নার্স সেজে অভিনব কৌশলে চুরি!

ডাক্তার ও নার্সদের অ্যাপ্রন, মুখে মাস্ক এবং গলায় ভুয়া আইডি কার্ড পরে অভিজাতপাড়ায় অভিনব কায়দায় চুরি করে আসছিলেন মিম

রাজধানীতে চিকিৎসক ও নার্সের বেশে অভিনব কৌশলে চুরির অভিযোগে নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় চুরি যাওয়া ৬টি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল ফোন ও ২টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, চক্রের হোতা আফসানা আক্তার এশা ওরফে মিম, তন্ময় বিশ্বাস, স্বপন শেখ, নুরুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন কালু ওরফে কলিউল্লাহ ও মোখলেছুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আবদুল আহাদ।

তিনি জানান, ব্যবসায়ী জাদেুল ইসলামের গুলশানের বাসা থেকে চুরির ঘটনার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর চুরির তথ্য পান তারা। চক্রের হোতা মিম খুবই ধুর্ত। তার এ অপকর্মের প্রধান সহযোগী বয়ফ্রেন্ড তন্ময়।

ডিএমপির গুলশান বিভাগ পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তার ও নার্সদের অ্যাপ্রন, মুখে মাস্ক এবং গলায় ভুয়া আইডি কার্ড পরে অভিজাতপাড়ায় অভিনব কায়দায় চুরি করে আসছিলেন মিম। মূলত ভুয়া চিকিৎসকের বেশ ধরে তিনি বাসায় প্রবেশ করে চুরি করতেন।

কোনো বাসায় চুরির আগে রেকি করে চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে কোন বাসায় অসুস্থ, বৃদ্ধ বাসিন্দা আছে, কখন মানুষ কম থাকে, কখন অভিভাবকরা সন্তান নিয়ে স্কুলে যায়, সব তথ্য জোগাড় করে।

ডিসি আবদুল আহাদ বলেন, মিমসহ গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে গুলশান থানাসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১৪টি নিয়মিত মামলা ও ২টি সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। গুলশান, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় একবার করে মোট চারবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন মিম। এ ছাড়া  মোখলেছুর রহমান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

রাজধানীবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কোনো বাসায় ডাক্তার বা নার্স পরিচয়ে কেউ ঢুকতে চাইলে প্রবেশ করতে দেবেন না। যে কেউ আসুক না কেন, পরিচয় নিশ্চিত হয়েই প্রবেশে অনুমতি দেওয়া উচিত। বাসা বা ভবন মালিকদের সেটা নিশ্চিত করতে হবে, দারোয়ানদের তা জানাতে হবে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলাম বলেন, তাজ্জব হয়ে গেছি, এভাবেও চুরি হতে পারে। আমার বাসা অনেক নিরাপত্তাবেষ্টিত। বাসার দারোয়ান, সিসিটিভি, সবই ছিল। আমার মা অসুস্থ। তাকে মাঝেমধ্যে থেরাপি দিতে হয়। সেই তথ্য বলে ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয়ে বাসায় ঢোকে চোর মিম। মাত্র তিন মিনিট বাসায় ছিলাম না। এরমধ্যে মোবাইল ল্যাপটপ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় চোর।


আরও দেখুন: