সাশ্রয়ী খরচে দেশে ক্যান্সার রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবার লক্ষ্যে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা সিএমএইচে ক্যানসার সেন্টার নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৪৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের পুরোটাই বহন করবে সরকার। 

ঢাকা সেনানিবাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে প্রতিরক্ষার মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রকল্পটি আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় উঠতে পারে। এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসাসেবার পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি সামরিক ও বেসামরিক রোগীদের আন্তর্জাতিকমানের উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান ৪তলা ভবনকে ১২তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ১৬৭০৫ বর্গমিটার অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, ১৫৪৬ সংখ্যক/সেট আইটেমের মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ক্রয়, ৫ ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ক্রয়, ৩৪০৬টি আসবাবপত্র ক্রয়, ৩৬ জন পরামর্শক নিয়োগ, ৮০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক ক্রয়, ৫ জন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও ১টি জিপ, ১টি পিক-আপ ভাড়া।

প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় একটি বিশ্বমানের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার সেন্টার স্থাপন হবে; যার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে দেশেই ক্যান্সার রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও আইএমইডি কর্তৃক নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে। এজন্য একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।

‘ঢাকা সিএমএইচে ক্যান্সার সেন্টার নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর ও সেনাসদর, ইইনসির (ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ) শাখা, পূর্ত অধিদপ্তর।