চমেক হাসপাতালে ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট স্থাপনে চুক্তি সই
চীনের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৫০ শয্যার বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষর
চীন সরকারের সহায়তায় ১৫০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সব মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র অনুদান হিসেবে দেবে চীন সরকার। দুই একর জায়গার ওপরে এটি নির্মাণে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
চুক্তি অনুযায়ী বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে থাকবে- একটি বহিঃবিভাগ, একটি আন্তঃবিভাগ, একটি জরুরি বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড, নারীদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য পাঁচটি এইচডিইউ বেড।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এইচ ই ডেং বুকিং, ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চীনের একটি এক্সপার্ট টিম।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ডক্টর টিভি অনলাইনকে বলেন, সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী- ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট হবে একটি স্বতন্ত্র হাসপাতাল। যেখানে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। চমেকের বার্ন ইউনিট চালু হলে উপকৃত হবেন পাহাড়-বেষ্টিত চট্টগ্রামের কয়েক কোটি মানুষ। এটি স্থাপন করা শিল্প অধ্যুষিত চট্টগ্রামের জন্য অতি জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।