স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার তৈরিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১২টি নির্দেশনা
স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার তৈরিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১২টি নির্দেশনা
পবিত্র রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে নিরাপদ খাদ্য আইন ও এর বিধি বিধানসমূহ প্রতিপালনের জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য ১২টি নির্দেশনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার (২৬ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেইজে ১২টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
* খোলা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন হতে বিরত থাকুন।
* বাসি বা পঁচা খাদ্যোপকরণ দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করবেন না।
* সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্যোপকরণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢেকে রাখুন।
* হিমায়িত খাবার -১৮° সে. নিচের তাপমাত্রায়, ঠান্ডা খাবার ৫°সে. নিচের তাপমাত্রায় এবং গরম খাবার ৬০°সে. ওপরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
* ইফতার সামগ্রী- যেমন : পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে অননুমোদিত রং, সুগন্ধি বা অন্যান্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
* যেকোনো ধরনের শরবত বা পানীয় তৈরিতে অনিরাপদ পানি/বরফ, অননুমোদিত সুগন্ধি, রং ইত্যাদি ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
* রান্নায় বিশুদ্ধ বা ভেজালমুক্ত তেল ব্যবহার করুন এবং একই তেল বার বার ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
* অপরিপক্ব ফল পাকাতে অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
* খাদ্যদ্রব্য মোড়ক করতে খবরের কাগজ বা ব্যবহৃত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না।
* অসুস্থ বা ছোঁয়াচে ব্যাধিতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, পরিবেশন ও বিক্রয় হতে বিরত থাকুন।
* ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত খাদ্য কর্মীরা আবশ্যিকভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কভার পরিধান করুন।
* উৎস শনাক্তকরণের প্রয়োজনে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ক্রয়ের রশিদ বা চালান খাদ্যদ্রব্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করবেন।