কম বয়সে গর্ভধারণ বেশি স্বল্প আয়ের পরিবারে
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ জানান, ১৮ বছর বয়সের আগেই তাঁরা গর্ভধারণ করেছেন
স্বল্প আয়ের পরিবারে ১৮ বছরের আগে গর্ভধারণের প্রবণতা বেশি। এই হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে, ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মনিটরিং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব এসডিজিস ফর এনশিওরিং গার্লস অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়াই-মুভস প্রকল্পের আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, অপরাজেয় বাংলাদেশ, ইয়েস বাংলাদেশ এবং ইউথ ফর চেঞ্জ ২০২১ সালের জুন থেকে গত বছর জানুয়ারি পর্যন্ত দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় ৬৪ জেলায় ৩ হাজার ১৭৫টি পরিবার, বিশেষ করে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীর অংশগ্রহণে জরিপটি পরিচালনা করে।
জরিপে দেখা যায়, সর্বনিম্ন আয়ের পরিবারে (মাসিক আড়াই হাজার টাকা) ১৮ বছর বয়সের আগে গর্ভধারণের হার সবচেয়ে বেশি, ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ জানান, ১৮ বছর বয়সের আগেই তাঁরা গর্ভধারণ করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের (১৪-৪৯ বছর বয়সী) ৯৩ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন ও ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ তা অনুসরণ করেন। ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারে স্বামী-স্ত্রী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন। আর এ পদ্ধতি সম্পর্কে মূলত টেলিভিশন, কমিউনিটি ওয়ার্কার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তাঁরা তথ্য নেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়েস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ২১ দশমিক ৯ শতাংশ নারীর মাসে আয় আড়াই হাজার টাকার কম এবং ৯ দশমিক ৫ শতাংশের আয় ১০ হাজার টাকার বেশি। ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা পড়াশোনা ও চাকরি ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যের বাধা পেয়েছেন। আর ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে শিশুরা কোনো না কোনোভাবে বাসায় কিংবা বাইরে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বা আগ্রাসনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক বলেন, ‘যুবকরা পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। তাদের সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (কৈশোরকালীন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য) ডা. মনজুর হোসেন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আয়েশা সিদ্দিকী নার্গিস, উপপরিচালক (ইনোভেশন) আরিফুল হক মামুন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপপ্রধান মো. মুস্তাসিম বিল্লাহ প্রমুখ।