'পরিষ্কার পানিতে একটু ময়লাও যাতে না পড়ে।'
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মান বজায় রাখার নির্দেশনা দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
'পরিষ্কার পানিতে একটু ময়লাও যাতে না পড়ে।' বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মান বজায় রাখার নির্দেশনা দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) পক্ষ থেকে কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন, ভ্যাকসিন সফলতা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতকে সম্পৃক্তকরণ ও উদ্বুদ্ধ করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনো দরিদ্র। তাই অযথা টেস্ট ও অতিরিক্ত ওষুধ রোগীদের যাতে না দেওয়া হয়। প্রাইভেট সেক্টরে সেবা নিতে মানুষকে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়, এই বদনামের ভাগীদার আমাদের যাতে হতে না হয়। এসময় বেসরকারি খাতকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
রোগীদের বিদেশে ভ্রমণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের একত্রিত হয়ে মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; তাদের ভরসা অর্জন করতে হবে। তবেই মানুষ বিদেশমুখী হবে না।
এসময় তিনি কোভিড মোকাবিলায় অবদান রাখার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের অবদানের প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, দেশে প্রায় ৫ হাজারের অধিক বেসরকারি হাসপাতাল প্রায় ৬২% স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা মহামারীকালে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মানবিক কর্মপ্রয়াস পরিচালনা করার স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সেবাদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তির মর্যাদা প্রদান করেন এবং কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে মানবিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় প্রাইভেট মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, আজ আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হলো এটি আমি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) গোটা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে গ্রহন করে সম্মানিত বোধ করছি। এর মাধ্যমে গোটা চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যখাতকে যেভাবে সম্মান দেয়া হল সেজন্য বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এম মুবিন খানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো: টিটো মিঞাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।