চমেকে ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট, সহায়তায় চীন
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ মাসের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে
চীন সরকারের ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট উপহার পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। আগামী সোমবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
চীনা প্রতিনিধি দল ১২ দিন ধরে এ বিষয়ে সাইট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ভবনের নকশার সব পরিমাপ এবং অন্যান্য দিকগুলো খতিয়ে দেখেছেন। তারা চমেক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও করেছেন।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকের কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হয়। তখন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এবং বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের সচিব শি চেন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই এবং শয্যা সংকট আছে। চীনা সরকার চমেক হসপাতালের জন্য একটি ১৫০ শয্যার বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট তৈরি করবে, যা পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিটটিতে ২টি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকবে, ১০টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা এবং ২৫টি উচ্চ নির্ভরশীল ইউনিট (এইচডিইউ) শয্যা থাকবে। চীনা সরকার হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ করবে এবং পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে এবং ইউনিটটি চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করবে।’
পরিচালক বলেন, এই ইউনিটটি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে শুধু চট্টগ্রাম জেলার মানুষই নয়, এই বিভাগের অন্যান্য জেলার রোগীরাও উপকৃত হবেন। এ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে ১৩ মার্চ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানান তিনি।
চীন দূতাবাসের সেক্রেটারি শি চেন বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ মাসের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে। হাসপাতালটিতে রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে এবং এটি হবে একটি আধুনিক হাসপাতাল।’
প্রখ্যাত বার্ন বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চট্টগ্রামে একটি আধুনিক বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা চলছে। এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন ছিল এবং এই প্রকল্পটি এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে।’