অক্সিজেন কারখানায় আহতদের কান ও চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
2023-03-06 13:36:15
অক্সিজেন কারখানায় আহতদের কান ও চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে

সীতাকুণ্ড অক্সিজেন প্লান্ট এর বিস্ফোরণে আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিক ডা. শেখ মোহাম্মদ আদনান, লাইন ডাইরেক্টর হাসপাতাল এন্ড ম্যানেজমেন্ট অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক, পরিচালক চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ডা. শামীম, অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডা. শাহেনা আক্তার।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে আহতদের কানে শোনা ও চোখে দেখায় সমস্যা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭ জন। তাদের অধিকাংশই কানে কম শুনছেন। কারও কারও চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন। 

চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন একজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। বাকি ১৬ জনের মধ্যে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে ৭ জন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২  জন ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৫ মার্চ) রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিস্ফোরণে মারা গেলেন মোট ৭ জন।

হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের আবাসিক চিকিৎসক আদিফা আক্তার জানান, অক্সিজেন  কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আহতদের কেউ কেউ কানে কম শুনছেন। কারও কারও চোখে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অনেকে ট্রমার মধ্যে আছেন। তবে এ ওয়ার্ডে যারা আছেন তারা ঝুঁকিমুক্ত। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সীমা অক্সিজেন কারখানায় আহতদের সাতজনই চিকিৎসা নিচ্ছেন ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ড-২ এ।
দুই নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আরাফাত আলম জানান, দুর্ঘটনার সময় আমি কারখানার ভেতর ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আমার ওপর একটি লোহার পাত এসে পড়ে। এতে আমি জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালে দেখতে পাই। আমি কানে কম শুনছি। চোখের মধ্যে জ্বালা করছে।

২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কারখানার ট্রাকচালক নারায়ণ ধর। তার চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

একই ওয়ার্ডের ২৭ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মো. ফোরকান। দুর্ঘটনার পর থেকে কানে কম শুনছেন তিনি।এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে তার। 

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আবদুল মোতালেব সীমা অক্সিজেনে কাজ করতেন রিফিলম্যান হিসেবে। মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি। ঘটনার পর থেকে কানে কম শুনছেন। 

২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসিক চিকিৎসক ফিরোজ বলেন, বিস্ফোরণ বিকট শব্দে হয়েছে। এরপর থেকে অনেকেই কানে কম শুনছেন। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আপাতত শরীরের বড় সমস্যা সারাতে চেষ্টা করছি।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আশপাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে পৃথক স্থানে থাকা দুই ব্যক্তির ওপর কারখানার লোহার পাত উড়ে গিয়ে মাথায় পড়ে মারা যান।


আরও দেখুন: