খুলনার চিকিৎসকরা যা প্রমাণ করল
ডা. বাহারুল আলম (সভাপতি খুলনা বিএমএ) :
রাজধানী সহ ৬৪ জেলা একসাথে একঘন্টা কর্মস্থলে চিকিৎসকরা অনুপস্থিত থাকলে কি দশা হবে- সরকার বুঝতে পেরেছে
.............................................
আবারও খুলনা বিএমএ –র আন্দোলন সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে – চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার কর্মস্থলে চিকিৎসক কত প্রয়োজন! কর্মস্থলে চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে জনগণের কাছে সরকারের অবস্থান কি মাত্রায় বেহাল হয়- প্রচার মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের অনেক গর্ব। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে এ যাবত কোন সরকারের মুখে ‘রা’ নাই। কারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে কলোনিয়াল আমলাতন্ত্র।
সর্বস্তরের সকল চিকিৎসক ও তাদের সংগঠনের সমর্থনে এবার দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল খুলনার চিকিৎসকরা প্রমাণ করল- ‘চিকিৎসক না থাকলে সরকারের এত আয়োজন বৃথা ও মুখ থুবড়ে পড়ে’। প্রচার মাধ্যমে এ কয়দিনের আহাজারি সেই বার্তাই দিয়ে গেল। এ আন্দোলনে সরকারের চিকিৎসক অবহেলার চালচিত্র উন্মোচন করে দিয়েছে। সরকারের রাজনীতি ও প্রশাসন এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ল খুলনা বিএমএ ভবনে এবং তাদের একমাত্র আকুতি– ‘এ আন্দোলন আমাদের গলা টিপে ধরেছে, একটু ঢিল দাও, যেন শ্বাস নিতে পারি’। তার জন্যই ৭ দিনের জন্য 'কর্মবিরতি' স্থগিত।
রাজধানী সহ যদি ৬৪ জেলা একসাথে একঘন্টা কর্মস্থলে চিকিৎসকরা অনুপস্থিত থাকে, তাহলে কি দশা হবে সরকার বুঝতে পেরেছে। এ থেকে রাষ্ট্রের কর্ণধারদের শিক্ষা নেওয়া উচিত– জনস্বার্থে চিকিৎসকরা যেন লাঞ্ছিত, অপমানিত ও অপদস্ত না হয়। তারা যেন অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা সহ তাৎক্ষণিক বিচার পায়– তার ব্যবস্থা করা।
৫২ বছরে সরকার সমূহের উদাসীনতা ও নিস্ক্রিয়তার অবসান হবে যদি চিকিৎসকরা একযোগে, একসাথে কেবল কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে। বহু আবেদন, নিবেদন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপিতে অতীত ও বর্তমান কোন সরকারই সাড়া দেয়নি।
একমাত্র কর্মসূচি– কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, সারা বাংলাদেশে একযোগে একসাথে। যা চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে। সেদিনের অপেক্ষায় থাকো......