আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি: বিএমএ খুলনার সিদ্ধান্ত
ডা. নিশাত আবদুল্লাহ’র ওপর হামলাকারী আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা
ডা. নিশাত আবদুল্লাহ’র ওপর হামলাকারী আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা। বৃহস্পতিবার খুলনা বিএমএ, বিপিএমপিএ, ও ক্লিনিক মালিক সমিতি যৌথ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অপরাধীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রশ্রয় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যরা। তারা প্রত্যেকেই কর্মবিরতি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। সেই সাথে আরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় –
১) লাঞ্ছিত ডা নিশাত আবদুল্লাহ-এর চরিত্র হরণের যে মামলা দায়ের করা হয়েছে- সেটি বানোয়াট ও চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগে দাখিল করা মূল মামলা ঠেকানোর জন্য কাউন্টার মামলা হিসাবে গণ্য করেছে সভা। অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার করার মত প্রকাশ করে উপস্থিত সদস্যরা।
২) শনিবার ০৪-০৩-২০২৩ দুপুর ১২টায় শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সমগ্র বাংলাদেশের চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ।
৩) ০৪-০৩-২০২৩ তারিখে সন্ধ্যা ৭টায় বিএমএ খুলনা ভবনে ‘চিকিৎসকদের গণ-পদত্যাগ’-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জরুরি সাধারণ সভা।
বাংলাদেশের সকল প্রান্তের চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনার শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এছাড়াও অপারেশন থিয়েটারে ভাঙচুর চালায় তারা। এক মাস আগে অপারেশন করা রোগীর জটিলতার কথা বলে তারা এই হামলা চালানো হয়। ডা. নিশাত বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন ডা. নিশাত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদেরকে গ্রেফতার করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে বিএমএ খুলনার ডাকে কর্মবিরতি করছেন চিকিৎসকরা।