ডিএনসিসি কভিড হাসপাতালের ২০২ জন চাকরিচ্যুত
সবাই করোনা মহামারীর সময়ে আউটসোসিং হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কভিড হাসপাতালে কর্মরত ২০২ চিকিৎিসাকর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তারা সবাই করোনা মহামারীর সময়ে আউটসোসিং হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে দীর্ঘ এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না।
এর মধ্যেই চাকরিচ্যুতির খবর শুনে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রয়ারি) প্রতিবাদে মহাখালীতে হাসপাতালের সামনের সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসাকর্মীরা। শতাধিক চিকিৎসাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকে পিপিই-গাউন পরে সড়কে শুয়েও পড়েন। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছে সড়কের একপাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
ট্রাফিক বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘণ্টাখানেক আলোচনার পর বিকেল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়।
মো. খালিদ জানান, কভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি ওয়ার্ড বয় হিসেবে চার মাসের চুক্তিতে এ হাসপাতালে যোগ দেন। পরে কয়েক দফায় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তার অভিযোগ, মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ার পর তাদের দিকে আর ‘তাকাচ্ছে না’ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের বেতন বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে তাদের সবাইকে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে যে তাদের চাকরি আর নেই।
মহাখালীতে ৭ দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির বিপণিবিতানকে কভিড মহামারী শুরুর পর হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এটি তৈরি করা হয়েছিল কারওয়ান বাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে। তবে ব্যবসায়ীরা না আসায় এটি খালি পড়েছিল।
২০২০ সালে সেখানে প্রথমে গড়ে তোলা হয় ১ হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার। পরে চিকিৎসাও দেওয়া হয় সেখানে। গত বছর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছিল এ হাসপাতালে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।