ভূমিকম্পের পরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে সিরিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি

অনলাইন ডেস্ক
2023-02-17 12:56:43
ভূমিকম্পের পরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে সিরিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি

বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর রোগী সেবায় হিমশিম খাচ্ছে সিরিয়ার হাসপাতালগুলো

বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর রোগী সেবায় হিমশিম খাচ্ছে সিরিয়ার হাসপাতালগুলো। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সহায়তা চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানান, দেশটিতে ভূমিকম্পে ৩৬ হাজার ১৮৭ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৮শ’ মানুষ ।

রেড ক্রসের প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিধ্বংসী ভূমিকম্পের আঘাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা না গেলে সিরিয়া রোগের বিপজ্জনক প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল জগন চাপাগাইন বলেছেন, উষ্ণতা পাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়াই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর অবিলম্বে স্থায়ী আবাসনের প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেছেন, তারা ভীষণ ঠাণ্ডার মধ্যে বিদ্যালয়ের ঘরে খুবই নাজুক পরিবেশে বসবাস করছে। এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তাদের স্বাস্থ্যের খারাপ পরিণতি হবে।

ঝুঁকিতে শিশুরা : উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভূমিকম্পবিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা গুরুতর যেসব সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, সে ব্যাপারে কথা বলেছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস ইল্ডার।

তিনি বলেছেন, এখনই তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। সুপেয় খাবার পানি, খাদ্য, কম্বল এবং মানসিকভাবে সহায়তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে তারা। এটা এই শিশুদের জন্য মানসিক চাপের ওপর আরো চাপ। ১২ বা তার কম বয়সী প্রতিটি শিশু তাদের পুরো জীবন শুধু দ্বন্দ্বই দেখেছে।

সহায়তা নিয়ে গেছে জাতিসংঘের ট্রাক : ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে তাঁবু, হিটার এবং কলেরা পরীক্ষার কিটসহ জাতিসংঘের সাহায্য নিয়ে শতাধিক ট্রাক উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিভিন্ন জেলায় ক্রমাগত সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনটি তুর্কি-সিরীয় সীমান্ত ক্রসিং বাব আল-হাওয়া, বাব আল-সালাম ও আল রাই ব্যবহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আশ্রয়ের চাহিদাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


আরও দেখুন: