বিএসএমএমইউয়ে সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেল উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক
2023-02-13 13:37:38
বিএসএমএমইউয়ে সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেল উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও লাইভ রিলেটেড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম অঙ্গদাতা সারাহ ইসলামের নামে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেল চালু করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকের ৪০০ নম্বর কক্ষে এই সেল উদ্বোধন করেন উপাচার্য  অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ ও সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা। 

এ উপলক্ষে বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সেখানে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, একজন ব্রেন ডেথ মানুষের দেওয়া অঙ্গের মাধ্যমে ৮ জন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। অঙ্গগুলি হলো- দুটি কিডনি, দুটি ফুসফুস, একটি হৃদযন্ত্র, একটি অগ্ন্যাশয়, একটি পূর্নাঙ্গ অন্ত্রনালী ও একটি যকৃৎ। উন্নতদেশগুলোতে অনেক আগে থেকে ব্রেন ডেথ রোগীর শরীর থেকে অঙ্গগুলো সংগ্রহ করে অন্যের জীবন রক্ষার কাজ প্রচলিত আছে। 

উল্লেখ্য, গত ১৮ই জানুয়ারি দিবাগত রাতে সারাহ ইসলাম ব্রেন ডেথ হওয়ার পর পরই বিএসএমএমইউ’র ক্যাডাভেরিক সেলের আহ্বায়ক ও রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টশনের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে তার দুটি কিডনি বের করে আনা হয়। এর পর একটি কিডনি শামীমা আক্তার নামের একজন রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন তিনি। অপর কিডনিটি হাসিনা আক্তার নামের অপর এক রোগীর দেহে পুনঃস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম। 

এছাড়াও সারাহ ইসলামের দুটি কর্ণিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য দুজন রোগীর চোখে।   

১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, এরপর যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ব্রেইন ডেথ রোগীদের থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলেও বাংলাদেশে আগে কখনো তা করা হয়নি। নতুন এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে অনেক কিডনি রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।


আরও দেখুন: