ডা. নাজনীন হত্যার আসামির ফাঁসি কার্যকর
২০০৫ সালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ও ল্যাব এইডের মালিকের মেয়ে ডা. নাজনীন আক্তার খুন হন
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১ মিনিটে চিকিৎসক ও গৃহপরিচারিকার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মো. আমিনুল ইসলামের (৪২) ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমিনুল নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে।
২০০৫ সালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ও ল্যাব এইডের মালিকের মেয়ে ডা. নাজনীন আক্তার ও গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় তাকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ডাবল মার্ডার মামলা ছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, এসিসি রেজুয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ।
জেল সুপার জানান, ফাঁসি কার্যকর আসামির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কারা আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ল্যাব এইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের বড় বোনের ছেলে আমিনুল ইসলামকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছিল ওই পরিবার। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে।
২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নে আমিনুল। গৃহকর্মী পারভীন আক্তার পারুল তা দেখে ফেললে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর বগুড়ায় চলে যান আমিনুল। সেখান থেকে ফরিদপুরে গিয়ে শরিফুল ইসলাম নাম নিয়ে রোজ ৫০ টাকা পারিশ্রমিকে এক বাড়িতে কাজ নেন।
এভাবে আত্মগোপনে থাকার সময় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমিনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৯ মে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।