মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা
জাতীয় পুষ্টিসেবার উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভা
সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণা থেকে জানা গেছে, শহর এবং গ্রামের ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা পুষ্টির ক্ষেত্রে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে ( DHS, 2014)। শহর এবং গ্রামের ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের খর্বকায় ( HAZ- 2SD) হওয়ার মাত্রা যথাক্রমে ৩৪.৫% এবং ৩৯.৯%। রক্তশূন্যতার হার গ্রামাঞ্চলে ৪০% এর কাছাকাছি এবং শহরাঞ্চলে প্রায় ৩৬%। গত ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পুষ্টিসেবার উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
One day orientation on Adolescent nutrition at central level health officials - শীর্ষক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পুষ্টিসেবা লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৈশোরকালীন পুষ্টি সমন্বয়কারী ও জাতীয় পুষ্টিসেবা (এনএনএস) এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. নন্দলাল সুত্রধর।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের বেশি কিশোরকিশোরী, যাদের বয়স ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে এবং যাদের সর্বমোট সংখ্যা প্রায় ৩৬ মিলিয়ন (বিবিএস-২০২০ প্রজেকশন, অপ্রকাশিত)। এদের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ কিশোর কিশোরী প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ কিশোর (৫২%), প্রায় ১ কোটি ৭২ লক্ষ কিশোরী (৪৮%),
সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণা থেকে জানা যায় যে, শহর এবং গ্রামের ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা পুষ্টির ক্ষেত্রে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে ( DHS, 2014)। শহর এবং গ্রামের ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের খর্বকায় ( HAZ- 2SD) হওয়ার মাত্রা যথাক্রমে ৩৪.৫% এবং ৩৯.৯% রক্তশূন্যতার হার গ্রামাঞ্চলে ৪০% এর কাছাকাছি এবং শহরাঞ্চলে প্রায় ৩৬%।
সভায় বক্তারা বলেন, কিশোর- কিশোরীদের মধ্যে বিনিয়োগ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে তাৎক্ষনিক ও সরাসরি প্রভাব ফেলবে। মাঠ পর্যায়ে কৈশোরকালীন পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সহ সকল বিভাগ,মন্ত্রাণালয় সহ যৌথ কাজ করার ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়।
সভা জাতীয় পুষ্টিসেবার কার্যক্রম তুলে ধরেন জাতীয় পুষ্টিসেবা (এনএনএস) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফাতেমা আক্তার, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডা. আইরিন আক্তার চৌধুরী এবং নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি শিরিন আফরোজ।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য অপারেশন প্ল্যান কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত : কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় পুষ্টি সেবা কাজ করে চলছে।