স্বাস্থ্য সচিব ডাক্তার হওয়া উচিত : ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী এমপি
জাতীয় সংসদ অধিবেশন
স্বাস্থ্য সচিব উনি একজন ডাক্তার হওয়া উচিত, আমার উপজেলাতে একটি মাত্র হসপিটাল, বিশাল একটি উপজেলা এ বিষয়ে একনেকে একটি করিগন্ডা দরকার, করিগন্ডাটি হচ্ছে যেসব উপজেলা অনেক বড়, সেখানে প্রয়োজন দুটি হসপিটাল করা উচিত, জনসংখ্যা অনুপাতে আমাদের হসপিটাল করা হয়নি। ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর-টেবিলে উপস্থাপন, জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) ও আইন প্রণয়ন কার্যাবলী এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় ।
তিনি প্রতিরোধযোগ্য জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা সহজলোভ্য করার দাবি জানান। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, সময়মত ভ্যাকসিন, স্ক্রিনিং এন্ড ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। কোভিডের আগে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধক ভ্যাকসিন- এইচপিভি দেশে দেয়া হতো। আমার জানা মতে, বর্তমানে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে।
গ্যাভির রিকোয়ামেন্ট হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে, ৯০ শতাংশ কিশোরীকে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। ফিলোসপিটা হচ্ছে- ৯০ ভাগ ভ্যাকসিন নেবে। ৯ ভাগ বয়োস্কদের স্ক্রিনিং করা হবে এবং ৯০ ভাগকে চিকিৎসা করা হবে। এটি যদি করা না হয়, তাহলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার এক সময় মহামারীর আকারে দেখা দিতে পারে। গত বছর ৮ হাজার রোগী ধরা পড়েছিল। এবং ৪ হাজার মারা গেছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে বেশিরভাগ নারী অনেক পরে ডাক্তারের কাছে যায়। জরায়ুমুখের ক্যান্সার যখন ধরা পড়ে, ততদিনে তার চিকিৎসা আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
এখন সময় এসেছে, উপজেলাতে এগুলোর স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা। এ জন্য খুবই যৎসামান্য অর্থ লাগে। যারা গাইনোকালজিস্ট আছেন, তাদেরকে একটা অতিরিক্ত ট্রেইনিং করালে, তারাই এই ক্যান্সারের প্রাথমিক চিকিৎসা করা পারবেন এবং স্ক্রিনিং করাতে পারবেন। এই ব্যবস্থাটা উপজেলা পর্যায়ে আনতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্ভব হবে।
সিএইচসিপিরা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে একই বেতনে কাজ করছেন। তাদের চাকরির আইনগত জটিলতা কেটে গেছে, মামলাও প্রত্যাহার হয়েছে, তাদের ফাইলগুলো দীর্ঘদিন আটকে আছে, তারা খুবই হতাশার মধ্যদিয়ে সময় পার করছেন। তারা যৎসামান্য বেতনে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। তাদের চাকরিটা স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান ব্যারিস্টার শামীম।এটা ভোটের বছর সারা বাংলাদেশে ১৪ হাজার সিএইচসিপি হ্যাপি থাকলে, তার প্রভাব অবশ্যই ভোটের মাঠে পাওয়া যাবে- এটা সরকারের জন্য অনেক সুখকর একটা বিষয় হবে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট! সেই কবে থেকে বলে আসছি। এই ছেলেগুলো পড়ালেখা করে আসছে, তারা চাকরি পাবেন- এই ধরনের একটা প্রতিশ্রুতি তারা শুনেছিলেন। তারা অন্যকিছু করতে পারতো। শুরুতে তাদের বলা হয়েছে, এই সেক্টরে জায়গা ফাঁকা আছে, পড়ালেখা করো, ভবিষ্যতে চাকরি পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোন ধরনের নিয়োগ হলো না। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে সিএইচসিপিদের চাকরি স্থায়ী করা এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যারিস্টার শামীম।