ঠিকই রমেক সামলাতে পারলেন না পরিচালক
পরিচালক বলেছিলেন, সত্যি বলতে পৃথিবীর কেউই এ হাসপাতাল সামলাতে পারবে না
আন্দোলনের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পারসোনাল-২ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালের পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে শরিফুল হাসানকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক করা হয়েছে।
রমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান জানান, শরিফুল ইসলামের পদে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে শরিফুল হাসানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। পরিচালকের অপসারণ দাবিতে গত রবিবার থেকে হাসপাতালে বিক্ষোভ করছেন। সোমবার আন্দোলনকারীরা পরিচালকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেন।
মূলত ‘বকশিশ সিন্ডিকেটের’ দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা— রমেক হাসপাতাল নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ১৬ কর্মচারীকে বদলি করেন পরিচালক। এরপর থেকে পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন কর্মচারীরা।
তবে অভিযোগের বিষয়ে আগে পরিচালক শরিফুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি আসার পর হাসপাতালের অনিয়ম, টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যে চার খলিফার হাতে বন্দি, তারও অবসান হতে চলেছে। এ জন্য তারা আমাকে সরাতে মরিয়া। আমি চলে গেলে অতীতে যা কিছু ঘটেছে, সব ফিরে আসবে। মারামারি-খুনোখুনি হবে। সত্যি বলতে পৃথিবীর কেউই এ হাসপাতাল সামলাতে পারবে না, এটি আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।