টিএমএসএস মেডিকেলের লক্ষ্য দক্ষ চিকিৎসক তৈরি : অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন
দক্ষ চিকিৎসক তোলাই টিএমএসএস মেডিকেলের লক্ষ্য- অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ থেকে দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় মগ্ন আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও দেশের খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন। সম্প্রতি ডক্টর টিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের অর্জন ও ফলাফলের দিক থেকে কেবল উত্তরবঙ্গে নয়, সারাদেশেই শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ে বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ। যাবতীয় সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নিজেদের মান আরও উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান অধ্যক্ষ।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ঘিরে ভাবনা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন জানান, ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার পর জন্মভূমি বগুড়ায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর টিমএসএস মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষ তাকে বিভাগীয় প্রধান করেন। এরপর অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।
অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিকশিত হচ্ছে টিএমএসএস মেডিকেল। যদিও এ জন্য নিজের কৃতিত্ব নিতে রাজি নন তিনি, বিষয়টি সেভাবে মনে করি না। আগে থেকেই টিএমএসএস মেডিকেল আলোচিত প্রতিষ্ঠান। সরকার বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি টিমএসএস মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল শিক্ষার সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা সরেজমিনে বিভিন্ন প্যারামিটার অনুযায়ী আমাদের মান যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেন। সে আলোকে সরকার এ স্বীকৃতি দিয়েছে। টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ কেবল উত্তরবঙ্গ নয়, দেশের শীর্ষ বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করেছে।
অধ্যক্ষ বলে চলেন, টিএমএসএস মেডিকেলই প্রথম ৬টি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স চালুর অনুমতি পেয়েছে। আগামী জুলাই সেশন থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা একটি বিষয়ে এসে গেছে।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল, নন-ক্লিনিক্যাল সব বিষয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন। এক কথায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিএমএসএস মেডিকেলের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অধ্যক্ষ জানান, দেশের বেশিরভাগ রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চান। কারণ সেখানে সিট ভাড়া লাগে না, নামমাত্র খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা পান, অধিকাংশ ওষুধও ফ্রি। তা ছাড়া ওয়ার্ডে চিকিৎসকের সংখ্যাও বেশি।
ডা. জাকির হোসেন জানান, এসব সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা। মানসম্মত চিকিৎসা সেবাসহ হাসপাতালে আসা রোগীদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীতে রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালের কাছাকাছি সুবিধা দিতে চান তারা। এখন প্রায় সব সময় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। পর্যাপ্ত রোগীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যাতে হাতে-কলমে শিখতেন পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে সব সময়ই সচেষ্ট আছে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের সব অর্জনের জন্য মূল কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ড. হোসনে আরা বেগমের। রাজধানীর বাইরে, এতটা বিশাল অবয়বে মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। ভবিষ্যতে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ দেশের নাম্বার ওয়ান বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুসংহত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন।