বিএসএমএমইউয়ে ৬ রোগীর চোখে সফলভাবে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করে দেখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ রোগীর চোখে সফলভাবে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুর বারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নিজে এসব রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায়, সকল রোগীরই চোখ ভালো আছে এবং কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগের উদ্যোগে ৬ জন রোগীর চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থান করা হয়। এসব রোগীদের চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ। কর্ণিয়া সংগ্রহে সহায়তা করেন নেপালের তিলগঙ্গা আই ইনিস্টিটিউট চক্ষু ব্যাংক ও নেপালী চিকিৎসকেরা।
শনিবার রোগী দেখার পর উপস্থিত শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, রোগী ও তাদের স্বজনদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কর্ণিয়া দানের মাধ্যমে মানুষের অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব। কর্ণিয়া দান করে মৃত্যুর পরেও অন্যের চোখের দৃষ্টি হয়ে বেঁচে থাকুন। এটি একটি মহতী সুযোগ। কর্ণিয়া দান একটি সহজ প্রক্রিয়া। এতে মুখের কোন বিকৃতি হয় না।
উপাচার্য আরও বলেন, কর্ণিয়ার অভাবে অন্ধত্ব দূরীকরণ কার্যক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কর্ণিয়া দানে জনসচেতনা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন। এজন্য আমি গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। যাতে করে দেশবাসী কর্ণিয়া দানে উৎসাহিত হয় এবং অন্ধত্ব দূরীকরণ কার্যক্রম সফল হয়।
যেসব রোগীর চোখে সফলভাবে কর্ণিয়া স্থাপন করা হয় তারা হলেন আব্দুর রহিম (১৮), তানহা মাহাজিন ইকরা (১৪) রাজিয়া খাতুন (৬০), খাদিজা (৬০), তাসলিমা (৩২) ও গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস (৬০)।
চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জানানো হয়, চুক্তির আলোকে অচিরেই বিএসএমএমইউয়ের রোগীদের সংযোজনের জন্য কর্ণিয়া পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগো আই ব্যাংকের সাথে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য।