ইজতেমায় ৭ মেডিকেল টিম, ৩ মুসল্লির মৃত্যু
ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
শীতের ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক আম বয়ান করেন। একই সঙ্গে তা বাংলায় তরজমা করে শোনানো হয়।
এদিকে ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন গাজীপুরের আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০), সিলেটের নুরুল হক (৬৩) ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাবিবুল্লাহ হবি (৬৭)।
এবার প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। আর দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন দ্বিতীয় পর্বে। শুক্রবার হবে বৃহৎ জুমার নামাজ। এতে অংশ নিতে এখন লাখো মুসল্লি ছুটছেন তুরাগ তীরে। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি হবে দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত চলবে তাবলীগের ছয় উসুলের বয়ান। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আলেমরা মূল বয়ান করবেন। মূল বয়ান বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য তাৎক্ষণিক তরজমা করে শোনানো হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুজ্জামান জানান, আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় ১১টি মেডিকেল ক্যাম্প, ৬টি বিশেষজ্ঞ টিম, একটি ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম কাজ করছে।
কভিড ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দৈনিক ৫ হাজার র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ও ৫ হাজার করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে নেওয়া হবে। বিদেশি মেহমানদের জন্য সার্বক্ষণিক একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইজতেমায় আসা মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে ২৪ ঘণ্টাই ওষুধ ও সেবা পাওয়া যাবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের আগে দুই বছর দুই ভাগে বিশ্ব ইজতেমা করেছে দুই পক্ষ। মাঝখানে মহামারীর কারণে দুই বছর ইজতেমার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।