চমেকে বসছে ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো দেওয়া হয়েছে
কিডনি রোগী ও স্বজনদের বিক্ষোভের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নতুন ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এক মাসের মধ্যে মেশিনগুলো চালু হবে। এতে রোগীদের সংকট অনেকটা কেটে যাবে বলে আশা তাদের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো দেওয়া হয়েছে। মেশিনগুলো বসানোর জন্য হাসপাতালের নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে এ ওয়ার্ডে চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু রয়েছে। এগুলোতে অন্তর্বিভাগের রোগীদের সেবা দেওয়া হয়।
নেফ্রোলজি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান নুরুল হুদা বলেন, ‘ডায়ালাইসিস মেশিন চলে এসেছে। এখন বসানোর কাজ চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এগুলো চালু হবে। এতে কম মূল্যে রোগীরা সেবা পাবেন। ফলে সংকট অনেকটা কাটবে বলে মনে করি।’
মেশিনগুলো বসানোর পর স্যানডোরে এত দিন সেবা নেওয়া বাইরের রোগীরাও কম মূল্যে ডায়ালাইসিস–সেবা পাবে। যারা ভর্তুকি পেয়ে আসছিলেন, সেসব গরিব রোগীরা এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী ডায়ালাইসিস করাতে পারবেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যানডোরের ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি এবং সরকারিভাবে ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামে কিডনি রোগী ও স্বজনেরা বিক্ষোভ করছেন। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার তিনটি মেশিন বসানো হয়।
চমেক হাসপাতালের অধীন স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস–সেবা দেয়। ১ জানুয়ারি থেকে একবারের ডায়ালাইসিস ফি ভর্তুকিতে ৫১০ টাকার পরিবর্তে ৫৩৫ টাকা এবং ভর্তুকি ছাড়া ২ হাজার ৭৮৫ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি এত দিন যেসব রোগী মাসে কমপক্ষে ৮ থেকে ১২টি ডায়ালাইসিস–সেবা ভর্তুকিতে পেতেন, তারা এখন থেকে ৪ থেকে ৬টির ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবেন। বাকিগুলো প্রতিটি ২ হাজার ৯৩৫ টাকায় করাতে হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘ভর্তুকি যতটা সম্ভব দিয়েছি। এখন চলমান সংকট নিরসনে স্যানডোরের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ কারণে ১০টি নতুন ডায়ালাইসিস মেশিন আনা হচ্ছে। এগুলো চালু হলে সংকট অনেকটা কেটে যাবে।’