অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে যত কিডনি রোগী রয়েছে, তাদের অধিকাংশই জানে না কীভাবে কিডনি নষ্ট হচ্ছে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটছে। কিন্তু এটি প্রতিরোধে যে চিকিৎসা দরকার, তাতে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইউরোলজিক্যালস সার্জনস আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসংক্রামক রোগে ৬৭ ভাগ মানুষ ভুগছে। কিন্তু প্রতিরোধব্যবস্থা এখনো সেভাবে এগোচ্ছে না। তবে সরকার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি চিকিৎসায় উন্নতির চেষ্টা করছে। বৈজ্ঞানিক সেমিনারের মাধ্যমে এসব রোগ নিরাময়ে আধুনিক চিকিৎসার পথ তৈরি হয়। মান বাড়ে, সেবার গুণগত পরিবর্তন হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যত কিডনি রোগী রয়েছে, তাদের অধিকাংশই জানে না কীভাবে কিডনি নষ্ট হচ্ছে। আগামীতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি আধুনিকায়ন হলে মানুষের সেবা নেওয়ার হার বাড়বে। কিডনি চিকিৎসা আরও উন্নত হওয়া দরকার। আইনও করেছে সরকার। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন সেভাবে হচ্ছে না। যেখানে প্রতিবছর ৫ হাজার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, সেখানে হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ২০০-এর মতো।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আটটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে। প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ ও ১০টি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শিগগিরই এসব হাসপাতাল চালু হতে পারে। এতে সেবার মান বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে জনবল ও অনেক স্পেশালিস্টের দরকার, সেটিতে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। কোনো বিভাগে কত স্পেশালিস্ট দরকার, সেই তালিকা কখনো ছিল না, এখন করার চেষ্টা চলছে। মন্ত্রণালয় সেই উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে যে জনবল আছে, তা আরও দ্বিগুণ করতে হবে। তবে সরকার চাইলেই এক দিনে এটি করতে পারবে না।’