‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ আয়োজিত কর্মকর্তাদের জন্য দুই দিনব্যাপী “মান নিশ্চিতকরণ ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও সদ্য ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বারবার প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিকল্প নাই।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ আয়োজিত কর্মকর্তাদের জন্য দুই দিনব্যাপী “মান নিশ্চিতকরণ ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, প্রশিক্ষণ কাজের একঘেয়েমি দূর করে নতুন কিছু ভাবতে শেখায়। উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে ই-ফাইলিং এর কার্যক্রম শুরু করতে হবে, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে পেপারলেস অবস্থায় যেতে হবে। যেকেনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নেতৃত্বের গুণ থাকতে হবে। কেউ আসলে তার কথা শোনার ধৈর্য্য থাকতে হবে। সময়মতো অফিসে আসতে হবে। ডিসিপ্লিন হতে হবে। সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানসিক শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো কাজ দেওয়া হলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আরেকটা বিষয় কোনো দপ্তরেই যেনো কোনো ফাইল কয়েক ঘণ্টার বেশি না থাকে অর্থাৎ কোনো ফাইল আসার সাথে সাথেই সেই ফাইলের কাজ সম্পন্ন করে তা পরবর্তী দপ্তরে প্রেরণ করতে হবে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, সাবেক রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল গফুর, আইকিউএসি এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. হরষিত কুমার পাল, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ সালাহ্ উদ্দিন সিদ্দিক সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ নিবন্ধ উপস্থাপনসহ প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। আর দক্ষ মানবসম্পদের জন্য প্রশিক্ষণের আবশ্যিকতা অনস্বীকার্য।