বিএসএমএমইউয়ে ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের অধীনে ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কার্ডিওলজি বিভাগের অধীনে ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম অনুমোদন দেয়ায় বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিষ্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক টাইম লাইনের লেখাটি ডক্টর টিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন । অনেক দিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগে Interventional Cardiology Fellowship programme সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছে।মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ জানাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত ডায়নামিক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের প্রতি। সত্যিকার অর্থে ভালো কাজে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে স্যার কখনো দেরি করেন নি।
আমি ২০০৭ সালে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অশোক শেঠ এর তত্ত্বাবধানে ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিতে ফেলোশিপ করি। এই ফেলোশিপের জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। আমার আগেও যে সকল কার্ডিওলজিষ্ট বিদেশে স্ব উদ্যোগে ট্রেনিং করেছেন, সবাই নানা ঘাঁত প্রতিঘাত সহ্য করে ট্রেনিং সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পদ্ধতি নেই যাতে সবাই ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিতে ফেলোশিপ করতে পারেন। আমার কাছে মনে হয়েছে এমডি (কার্ডিওলজি) বা এফ সি পিএস (কার্ডিওলজি) পাস
করার পরও ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিতে প্রশিক্ষন আরো নিবিড়ভাবে করা প্রয়োজন যা আমি বিদেশে প্রশিক্ষনের সময় শিখেছিলাম।
আমি যখন ভারতে যাই মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া( MCI) র রেজিস্ট্রেশন পেতে আমাকে ব্যাপক পথ ঘাট পার হতে হয়েছিল। এখন দেশে অনেক খ্যাতিমান কার্ডিওলজিস্ট, অনেক ক্যাথল্যাব, প্রয়োজন টেকনিক ও টেকনোলজির সমন্বয়, প্রয়োজন প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষা।
ইতিপূর্বে অধ্যাপক সজল স্যার এবং অন্যান্য ফ্যাকাল্টির সাথে এ বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা করি। অবশেষে ফ্যাকাল্টির কয়েকজনের সহযোগিতায় কোর্স কারিকুলাম তৈরী করে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের সাথে আলোচনা করি।
স্যার বললেন, তুমি তাড়াতাড়ি জমা দাও তোমার চেয়ারম্যানের কাছে। তারপর যত শীঘ্র সম্ভব এটি বাস্তবায়ন করবো। এ ঘটনা প্রায় বছর খানেক আগের। অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান স্যারের নিকট প্রস্তাবনা জমা দেই একটি কোর্স কারিকুলাম সহ।
তারপর নানা পথ ঘাট পেরিয়ে অবশেষে এই স্বপ্নের নতুন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। বিভাগের সকল ফ্যাকাল্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা। চেয়ারম্যান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা । যারা কোর্স কারিকুলামের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ।
তবে এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হলে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। আশা করি এ যাত্রায় আমরা জয়ী হবো। নতুন বছর শুরু হোক নতুন জয়গানে।