ওষুধের দাম বাড়াতে চাপ রয়েছে
সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের নেওয়া বিভিন্ন উপহার কমিয়ে দিতে হবে
ওষুধের দাম বাড়াতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় একথা জানান তিনি।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ডলারের সংকট রয়েছে। কাঁচামাল আনতে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য ওষুধের দাম বাড়াতে আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। এ সংকট উত্তরণে চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমরা তৈরি করি। ২ ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে আনতে হয়। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চাপ সামাল দিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের নেওয়া বিভিন্ন উপহার কমিয়ে দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসেবায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তি খরচ কমেছে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট জানিয়েছিল, চিকিৎসায় ব্যক্তির পকেট খরচ শতকরা ৭২ টাকা। বর্তমানে তা ৬৮ দশমিক ৫ টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস বলছে, স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের গড় মাথাপিছু ব্যয় ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৫৪ ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৭ ভাগ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সবচেয়ে কম ৩ ভাগ ময়মনসিংহ বিভাগে। মাথাপিছু হিসেবে ঢাকা বিভাগের জনপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ ৭ হাজার ৩৯ টাকা এবং ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬০ টাকা।