সাইন্টিফিক সেমিনার থেকে কী পাচ্ছি সেটাও বিবেচনা করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক কনফারেন্সের উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আমরা যে কোনো সাইন্টিফিক সেমিনারই করি না কেন, তা থেকে আমরা কী পাচ্ছি তা বিবেচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক কনফারেন্সের শুভ উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অসংক্রমক রোগ বেড়েই চলছে। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা খুব জরুরী। তাই এই বিষয়ে নলেজ শেয়ারিং বেশি হওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, আমরা গবেষণায় বেশ পিছিয়ে আছি। তাই নিজের মধ্যে নলেজ শেয়ারিং বৃদ্ধির পাশাপাশি বাইরের দেশের এক্সপার্টদের নলেজ শেয়ারিং বাড়াতে হবে। আমরা চিকিৎসা আরো ভাল করতে চাই, যাতে মানুষকে বিদেশ যেতে না হয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের একটি ইউনিট ইতোমধ্যেই তৈরি হচ্ছে। চমেক হাসপাতলে আমরা শয্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি যেহেতু সেখানে অনেক রোগী। তাছাড়া হোস্টেল বাড়ানোর দিকেও আমরা নজর দিচ্ছি। হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য কাজ চলছে।
এরপর তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী এই সাইন্টেফিক কনফারেন্স শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি অধ্যক্ষকে ধন্যবাদ জানান কনফারেন্স আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা পালনের জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর সিডিসি অধ্যাপক. ডা. নাজমুল ইসলাম, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো শামীম আহসান, অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক, অধ্যাপক নূর হোসেন ভূঁইয়া, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্তের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। বক্তব্য রাখেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আক্তার, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ডিপি বড়ুয়া, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনূস, সাবেক অধ্যক্ষ সেলিম মোঃজাহাঙ্গীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডা. এরশাদ উদ্দিন আহমেদ।